নিজস্ব প্রতিবেদক::: বরিশালে পলাশপুর একই স্থানে একই দিন বিএনপির দুইপক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আয়োজন করেছে। নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুরে আজ শুক্রবার এ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
একপক্ষ কর্মিসভা এবং অপর পক্ষ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখনো কোনো পক্ষকেই অনুমতি দেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার অনুসারী এবং বর্তমান নগর বিএনপির নেতৃত্বের অনুসারীদের মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেন জানান, তাঁরা জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালনে পুলিশ প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছেন। শুক্রবার (আজ) বেলা ৩টায় আলহাজ্ব দলিল উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচি করবেনই। একই স্থানে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ হাওলাদার তাঁর লোকজন নিয়ে কর্মিসভা করতে চান। হানিফ একসময় জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে তাঁরা যেকোনো মূল্যে প্রোগ্রাম করবেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম কামাল বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে পলাশপুরে বিএনপিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল একপক্ষ সেখানে মহড়াও দিয়েছে।
অপর দিকে নগর বিএনপির নতুন নেতৃত্বের অনুসারী ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ হাওলাদার বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা দলিল উদ্দিন বিদ্যালয়ে শুক্রবার বেলা ৩টায় কর্মিসভা করবেন। মহানগরের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ নেতারা এতে অংশ নেবেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সরোয়ার সাহেবের কিছু ভক্ত আছে। তারা মহানগর কমিটির নেতাদের মানে না। তাঁরা কর্মসূচি দিয়েছে, তাই পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা কর্মিসভা করবেনই।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি দলিল উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। মহানগরের নেতারা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ফারুক দাবি করেন, ওয়ার্ড বিএনপি আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা অনুমতিও দিয়েছেন।
দলিল উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, এ বিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও অবদান আছে। যে পক্ষ আগে এসেছে, তাদের অনুমতি দিয়েছেন। অন্য পক্ষকে ভিন্ন সময়ে কর্মসূচি করার কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে নগরের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। এখনো কাউকে অনুমতি দিইনি। তাঁদের আবেদন নজরদারিতে রয়েছে। যদি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার মতো কিছু দেখি, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply