মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র অনিয়ম, কিছুই জানেন না দাবী উপজেলা প্রকৌশলীর। মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র অনিয়ম, কিছুই জানেন না দাবী উপজেলা প্রকৌশলীর। – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’র অনিয়ম, কিছুই জানেন না দাবী উপজেলা প্রকৌশলীর।

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
  • ২৮৯ সময় দর্শন

স্টাফ রিপোর্টার।। বাবুগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি’র(স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর)আওতাধীন এলাকায় চলছিল

মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি ‘ এর মাধ্যমে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২১-২০২২ অর্থবছরের কার্যক্রম। এলসিএস (লেবার কনট্রাকটিং সোসাইটি) পদ্ধতিতে কাজ করছিল সমবায়টি।


সমবায়টির সভাপতি কাজি অপুর দেয়া অসমাপ্ত তথ্যানুযায়ী খাল খনন তথা খালের পলি অপসারণ এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। ঠিক কত টাকা পরিমাণের কাজ মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি পেয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেন নি এই সময়বায়ের সভাপতি। তিনি বলেন ‘ বাবুগঞ্জ উপজেলার অনেক খালেই পলি অপসারণ কাজ চলছিল আমাদের। শুধু পলি অপসারণের কাজ আমাদের। তবে এ প্রকল্পের একটা দিক হচ্ছে সুবিধাভোগীরা কাজের খরচের পঞ্চাশ শতাংশ অংশীদার হবেন। তা বাস্তবে সম্ভব হয়না। এই টাকার ঘাটতি থেকেই যায়। সময়বায়ের সদস্যদের দিয়ে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে কাগজকলমে যে সময় বেঁধে দেয়া হয়,তাও বাস্তবায়ন প্রকৃতপক্ষে সম্ভব নয়। এসব মিলিয়েই কাজ করেছি।তবে কাশিপুর ৬ মাইল সুইচগেট থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। দুই লক্ষ টাকা না দিলে পা কেটে দেবে বলেছে, নগদ ৫০ হাজার দিয়েও কাজ আর শুরু করতে পারিনি। ‘

প্রকল্পের তদারকি করা উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের প্রথম ভাষ্যমতে তিনি কিছুই জানেন না।সব জানেন নির্বাহী প্রকৌশলী। যদিও পরে তিনি স্বীকার করেন যে প্রকল্পের বিষয় তিনি জানেন। তবে গত পাঁচদিন ধরে কাজ বন্ধ। কেন বন্ধ প্রায় কোটি টাকার কাজ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘ শুনেছি স্থানীয়রা চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করেছে।তবে লিখিতভাবে সময়বায়ের সভাপতি আমাকে বা উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানাননি।

প্রকল্প শুরুর দিন -তারিখ,প্রকল্পের ব্যয়,এ যাবৎ পর্যন্ত উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ, কাজের পরিধি ও অগ্রগতি, খরচের বিবরণ,কাজ বন্ধ থাকলে কতদিন যাবৎ বন্ধ এসব বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব তথ্য রাখা আমার কাজ না। আপনারা লিখিতভাবে আবেদন করেন,আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেবো। ‘

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পলি অপসারণ করার বিষয়ে শ্রমিকের বদলে মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে ইচ্ছেমত। মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোন নিয়মনীতি। ফলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশী। আবার খালের অধিকাংশ যায়গায় শুধু হাতে কিছু কাদা তুলে রাখা হয়েছে। এমনকি আশপাশের জঙ্গলও পরিষ্কার করা হয়নি ।

তবে সূত্রমতে, ২৬ জানুয়ারি চুক্তি করে ‘ মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি ‘।চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করতে হবে এপ্রিলের ৩১ তারিখ।গজারিয়া,হিজলা,গোয়ালবাগান খাল এ কাজ করেছে সমবায়টি। মোট এলসিএস এর সংখ্যা ১৪ টি, প্রতি এলসিএস এর সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। এ পর্যন্ত গজালিয়া খালের ৫৯৭১০০, হিজলা খালের ২৬৮৮০০, গোয়ালবাগানের বরাতে ৫৬৫০০০ টাকা উত্তোলন করেছে সমবায় কতৃপক্ষ। সর্বশেষ বিগত ৭ দিন ধরে কাজ ফেরে রেখেছে মোহনগঞ্জ পাংশা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি ‘। ফলে স্থানীয় জনগনের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর