বরিশালে ‘পর্চা জাল’ করে সরকারী সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার।। শহরের বিভিন্ন জমির অবৈধভাবে দখল নিয়ে পর্চা জাল করে বিক্রি করেন তারা।২০০৫ সালে মামলার পর উচ্চ আদালতে মামলা চলমান হওয়াতে সরকারি জমি উদ্ধারে নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা কোন ব্যবস্থা।
মামলার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে প্রভাবশালী আসামীরা হলেন ‘ লাল মিয়া ওরফে লাল কসাই,এনায়েত করিম নয়ন, সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ঘের মামুন’
অভিযোগ রয়েছে বরিশালের হাটখোলাতে বড় সিমেন্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ‘ঘের মামুন’।
অসাধু সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে দুর্নীতি ও ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে রাতারাতি পাহাড়সম অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গিয়েছে বলে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সারের ডিলারের ব্যবসায়ও ব্যপক দুর্নীতির গুঞ্জন রয়েছে। সালাউদ্দিন আল মামুন নগরীর হাটখোলার এমইপি সংলগ্ন এলাকার মৃত কোব্বাত আলীর পুত্র।
মামলার এজাহার ও বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী,দুর্নীতির মাধ্যমে অসৎ উপায়ে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের নামে-বেনামে, এমনকি পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনদের নামেও কোটি কোটি টাকা ও পাহাড়সম সম্পদের মালিক বনে গেছেন।এই ভূমিদস্যুতা ও জালিয়াতির সাথে জড়িত মানুষসহ আরও প্রায় বিশ জন ভূমিদস্যু। এদের বিরুদ্ধে ভূমির পর্চা জালিয়াতি,সরকারী সম্পত্তি দখল ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগে মামলা হলেও কোনভাবেই থামছে না চক্রটি। তবুও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বহালতবিয়তে রয়েছে পুরো চক্রটি।
সালাউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী খাস জমির কাগজসহ ভূয়া দলিল রেজিষ্ট্রি জালিয়াতি, ভূয়াপর্চা তৈরি,নামপত্তনের খারিজ খতিয়ান জালিয়াতি,অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে রেকর্ড রুমের কাগজ নষ্ট, দুর্নীতিবাজ গুটি কয়েক অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রেজিষ্ট্রি দলিলের ভোলিয়াম বই গায়েব ও সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে নিজেদের বলে বেচে দেওয়ার অভিযোগে মামলা রয়েছে। নগরীর পলাশপুর মোহাম্মদপুরের মৃত লাল মোহাম্মদ সরদারের পুত্র কাউনিয়া থানায় ২০১৫ সালে মামলা করেন বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতে বাদী ইসমাইল হোসেন। তিনি প্রতারণামূলক ওই মামলাতে অভিযোগ করেন ‘১৫.৬.২০০৫ তারিখে এনায়েত করিম নয়ন এর মাধ্যমে (.৩০) একর ভূমির ৯৬০০০ টাকা দরে ৮০ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী। এসময় বায়না চুক্তি রেজিস্ট্রি হয়।পরবর্তীতে সাব কবলা দলিল না দিলে সন্দেহ থেকে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন বাদী। সেসময় তিনি জানতে পারেন যে, অন্যান্যদের মধ্যে লাল মিয়া ওরফে লাল কসাই,এনায়েত করিম নয়ন, সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ঘের মামুন সরাসরিভাবে জড়িত। বাদী অভিযোগ করেন আদালতে যে, সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করেই থামেনি চক্রটি,বরং বিক্রিও করছে জাল পর্চা তৈরি করে। সেখানে মামলার অন্যান্য আসামীদের মত লাল মিয়া ওরফে লাল কসাই,এনায়েত করিম নয়ন, সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ঘের মামুন জেএল ৬২ চরবদনা’র ০১ নম্বর খাস খতিয়ানের প্রায় ২১ একর জমি ভূয়া পর্চার বলে বিক্রি করছেন তারা।’
বরিশাল জেলা পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেনের দেয়া চার্জশিট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ‘অন্যান্যদের মধ্যে লাল মিয়া ওরফে লাল কসাই,এনায়েত করিম নয়ন, সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ঘের মামুন সরাসরিভাবে জড়িত। বাদী অভিযোগ করেন আদালতে যে, সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করেই থামেনি চক্রটি,বরং বিক্রিও করছে জাল পর্চা তৈরি করে। সেখানে মামলার অন্যান্য আসামীদের মত লাল মিয়া ওরফে লাল কসাই,এনায়েত করিম নয়ন, সালাউদ্দিন আল মামুন ওরফে ঘের মামুন জেএল ৬২ চরবদনা’র ০১ নম্বর খাস খতিয়ানের প্রায় ২১ একর জমি ভূয়া পর্চার বলে বিক্রি করছেন তারা। তবে, মামলাটি উচ্চ আদালতে আটকে থাকায় আপাতত কোন কার্যক্রম আগানো সম্ভব নয়।
যদিও মামলার এজাহার অনুযায়ী ৪৫৩ নম্বর খতিয়ানে ৪০১ নম্বর দাগের জমি কিনতে গিয়ে বায়না চুক্তি করেন তিনি। কিন্তু খতিয়ানটি জাল তৈরিকৃত।বিজ্ঞ আদালতে ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৯/৪৭১ ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই কর্মকর্তা। ‘
জাল পর্চা তৈরিকরে সরকারী ভূমি বিক্রির অভিযুক্তদের মধ্য সালাউদ্দিন আল মামুনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মামলার কথা স্বীকার করে বলেন ‘ মামলা উচ্চ আদালতে চলছে।এর বেশী কিছু বলতে পারবো না।’
জেলা প্রশাসনের সূত্র থেকে জানা যায়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে জাল খতিয়ান সৃষ্টি করেছে ভূমিদস্যুরা। উচ্চ আদালতে মামলা চলায় কোন ব্যবস্থা সম্ভব হচ্ছেনা।তবে সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারে কাজ করবে প্রশাসন।
Leave a Reply