শুরুতে ছিলেন লেগুনার চালক। কিছু সময় পার করেছন ভাড়ায় মাইক্রোবাস চালিয়ে। এখন তিনি কোটিপতি। এতে সময় লেগেছে ১০ বছর। একসময় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সেই সময়কার সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের সম্পত্তির কেয়ারটেকার পরিচয় দিতেন। এখন তিনি ব্যবসায়ী। আর এই ব্যবসা হচ্ছে প্রতারণার ব্যবসা। তিনি ব্যবসার ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন, সংসদ সদস্য, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), পুলিশ সুপার, ট্রাফিক সার্জেন্টসহ সরকারি কর্মকর্তাদের। এমন একজন প্রতারক হচ্ছেন জাকির হোসেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কুমিল্লার মেঘনা থানার ২ নম্বর মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে (৪৩) বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার মেঘনা থানা এলাকার হোমনা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।মানবপাচার, অর্থপাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও পাদচারণা রয়েছে তার।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, জাকির অনেক বড় একজন প্রতারক। তাকে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়ে আসছিলাম।যারা তার ফাঁদে পড়েছেন তারা জাকিরকে দিয়ে ব্যবসা করিয়ে লাভবান হতে চেয়ে ছিলেন।বিনিয়োগকারীদের টাকায় কেনা মাইক্রোবাস তাদের না জানিয়েই জাকির বিক্রি করে দেয়। এখানেই শেষ নয়। কারও কারও নামে ব্যাংক থেকে ঋণও নেন। এরমধ্যে সম্প্রতি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ছয়টি মাইক্রোবাস জাল কাগজে বিক্রি করে দিয়েছেন জাকির।
তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচারের মতো নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হন। আলিশান বাড়িও করেছেন তিনি।তাকে সহায়তা করত তারই শ্যালক ওয়াসিম। সেই মূলত এইসব অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত।
ডিবি পুলিশ জানায়, জাকির একসময় সাবেক এমপি পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামের নামে থাকা রাজধানীর দক্ষিণখাঁনের গাওয়াইর প্রেমবাগান এলাকার চারতলা ভবনের কেয়ারটেকার ছিলেন।
Leave a Reply