স্টাফ রিপোর্টার- কখনও মেট্রোপলিটন পুলিশে, কখনও জেলা পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দেন মাসুদ রানা। আবার কখনও এসপি পদের সমমান কোনও অফিসারের বডিগার্ড,গানম্যান পরিচয় দিয়ে চলেন তিনি।
এই প্রতারনার শিকার নগরীর চাঁদমারি এলাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী মিলন সিকদার অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। লিখিতভাবে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী মিলন সিকদার লিখিত অভিযোগে জানান, বিবাদী মো. রানা একজন প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক। তিনি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশের এসপি মহোদয়ের গান ম্যান পরিচয় দিয়া পরিচিত হইয়া প্রথমে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেন। পরবর্তীকালে তার জরুরী ভিত্তিতে বিপদ হতে মুক্ত হবার জন্য আমার কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার চায়।আমি দিতে ব্যর্থ বলে জানাই তখন। পরে বারবার অনুরোধে তার মানবিক দিক বিবেচনা করে সরল বিশ্বাসে তাকে গত মার্চ মাসে একসাথে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়া সাহায্য করলাম।এসময় তিনি আমাকে তার ব্যাংকের একটি চেক শুধুমাত্র প্রথম পাতায় একটি সাক্ষরসহ তারিখ ছাড়া প্রদান করেছেন(ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর ২৬৪.১০৩.১৫৩৮,চেক নম্বর- ৮৭৫৬৮৮৯)।
যেহেতু আমি সম্পূর্ণ অশিক্ষিত ব্যক্তি, সেহেতু আমি সরল মনে শুধু চেকের এই পাতা রেখে তাকে টাকা দিয়ে দেই।গত ৬ মাসের অধিক সময় হলেও বারবার তাকে ফোনে,সরাসরি যোগাযোগ করেও তিনি বারবার ছলচাতুরী করেন। এর উপর তিনি চেক হারাইয়া গেছে বলিয়া আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়া সারাজীবন জেল খটানোর হুমকি দেন।রানা পুলিশ বাহিনীর চাকুরীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে আমাকে।’
অভিযুক্ত মাসুদ রানার দেয়া চেক ও টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ফোন বন্ধ করে রাখেন তিনি।
রানা’র বন্ধু ও টাকার জামিনদার আরেক পুলিশ সদস্য ইব্রাহীম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন ‘ ঘটনাটি সত্য।টাকা লেনদেনের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম এবং মাসুদ রানার বাবাও ঘটনা জানেন।তবে রানা আমাকে সহ তাদের ঘুরাচ্ছে ‘ । এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply