মুন্সিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে বহিরাগতের ব্লেডের পোঁচে মো. আলী (৫৭) নামের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপর দেড়টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনতলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় বহিরাগত মো. জালালকে আটক করেছে আদালত পুলিশ। জালাল সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মিরেশ্বরাই গ্রামের মো. আলমাছ ওরফে পচা মিয়ার ছেলে। তবে কী কারণে ওই ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. কালাম হোসেন জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের এক সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে এবং বাম হাতের কনুইতে জখম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ব্লেড দিয়ে তাকে পোঁচ দেওয়া হয়েছে। জখম গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারের কাজ চলছিল। এ সময় আদালতের বারান্দা দিয়ে শাহ জালাল হোসেন নামে ওই ব্যক্তি ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় তার স্ত্রীও ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ জালাল এজলাসের ভেতরে প্রবেশ পুলিশ সদস্য মো. আলীকে ব্লেড দিয়ে পোঁচ দিতে থাকেন। পরে জালাল ও তার স্ত্রী রিনা বেগমকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালতের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনে বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ সদস্য মো. আলীকে একজন ব্লেড দিয়ে পোঁচাচ্ছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যকে ঘাড় ধরে বিচারকের সামনে নিয়ে যেতে থাকেন। তখন জালাল বলছিলেন, বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেবেন। আরও অনেক অসংলগ্ন কথা বলছিলেন জালাল।
মুন্সিগঞ্জ আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. জামাল হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশের ওপর আক্রমণের পেছনে ওই ব্যক্তির কোনো উদ্দেশ্য ছিল, নাকি তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply