পুলিশকে নতুন রূপে দেখতে চায় সরকার পুলিশকে নতুন রূপে দেখতে চায় সরকার – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

পুলিশকে নতুন রূপে দেখতে চায় সরকার

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
  • ১৯৫ সময় দর্শন

আজকাল ডেস্ক।। পুলিশকে নতুন রূপে দেখতে চায় সরকার। আবার সরকারই ১৩ বছর ধরে আটকে রেখেছে পুলিশ সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত একটি অধ্যাদেশ, যেটি ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ-২০০৭’ নামে পরিচিত। পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ওই সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) এস এম শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি কমিটি পুলিশ সংস্কারের খসড়া অধ্যাদেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরে বিভাগ, জেলা ও উপজেলার তৃণমূল পর্যায় থেকে জনমত সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু প্রায় ১৩ বছরেও অধ্যাদেশটি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন চাপা পড়ে থাকা প্রসঙ্গটি প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহের সময় নানা মহলে আলোচনায় ওঠে। এর পরই আবারও চাপা পড়ে যায়। অথচ পুলিশ বাহিনীর বিপন্ন ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং ‘জনগণের সেবক’ হিসেবে দায়িত্ব পালনে বিরাজমান অসুবিধা দূর করে তাদের একুশ শতকের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তোলাই এ সংস্কারের লক্ষ্য ছিল বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে কথা বলে জানা যায়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব পুলিশের সংস্কারে বড় বাধা। তারা বলেন, প্রশাসন মনে করে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে পুলিশকে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাতে পুলিশের ওপর মন্ত্রণালয়ের ‘খবরদারি’ কমে যাবে। একই সঙ্গে পুলিশে রাজনৈতিক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাগাম টানা হয়েছে ওই অধ্যাদেশে। ফলে অধ্যাদেশটির বিষয়ে এ দুই পক্ষ আন্তরিক নয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে। সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ অধ্যাদেশ-২০১৩ (খসড়া) যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি করেছিল। কিন্তু তার রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন ধরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিমাগারে বন্দী হয়ে আছে। তবে রাজনৈতিক শক্তি যদি আন্তরিকতার সঙ্গে চায় তাহলে এটা আলোর মুখ দেখতে পারে। এতে পুলিশের জবাবদিহি, স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সাধারণ মানুষও এ বাহিনীর কাছ থেকে প্রকৃত সেবাটা পাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশের সংস্কার সময়ের দাবি। এখনো এ বাহিনী সেই ঔপনিবেশিক আমলের ১৮৬১ সালের শোষণমূলক আইনেই চলছে। তখন মানুষকে শোষণ করার জন্য আইনটি করা হয়েছিল। ২০০৩ সাল থেকে দেখছি, ইউএনডিপিও পুলিশ সংস্কারের একটি জায়গায় এসে আটকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে ফোর্স বলা হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে এ বাহিনী এখনো সাধারণ মানুষের বাহিনী হতে পারেনি। সেই আইনের কারণে এখনো পুলিশ ভিআইপি, ভিভিআইপি এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি থাকবে- পুলিশের আধুনিকায়ন না হলে জাতির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর