“করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র সংগ্রহে নূন্যতম কর প্রদান করতে হবে” “করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র সংগ্রহে নূন্যতম কর প্রদান করতে হবে” – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

“করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র সংগ্রহে নূন্যতম কর প্রদান করতে হবে”

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
  • ১০৯ সময় দর্শন
সংগৃহীত

“করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র সংগ্রহে নূন্যতম কর প্রদান করতে হবে”

ই.এইচ সুজন:- করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও রিটার্ণ দাখিলের প্রমানপত্র সংগ্রহে নূন্যতম দুই হাজার টাকা কর প্রদান করতে হবে।

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ঘোষিত নতুন বাজেটে অর্থ বিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী করদাতা সনাক্তকরণ সংখ্যা (ই-টিআইএন) গ্রহণকারী আয়কর অধ্যাদেশ মোতাবেক রিটার্ণ দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এইরুপ করদাতার করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করিলেও আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে নূন্যতম ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা করে আয়কর প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অপরদিকে ব্যক্তি পর্যায়ের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার করা হয়েছে এবং মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্দ্ধ বয়সেরকরদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩.৫০ লাখ হতে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে। চলমান সময়ে ব্যক্তি পর্যায়ের ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যে করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি অতিব প্রয়োজন ছিল।

অপরদিকে মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করিলে নূন্যতম করের পরিমাণ এলাকাভিত্তিক ঢাকা, চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন এলাকার জন্য ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৪ হাজার টাকা এবং সিটি করপোরেশন এর বাহিরের অন্যান্য এলাকার জন্য ৩ হাজার টাকা নূন্যতম আয়কর প্রদানের নিয়ম যথারিতি বহাল রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য বৃত্তবানদের সুবিধার্থে নীট সম্পদের উপর সারচার্জ মুক্ত সীমা ৩ কোটির স্থলে করে ৪ কোটি পযর্ন্ত করমুক্ত (শুণ্য) প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ নীট সম্পদ পরিমাণ ৪ কোটি পযর্ন্ত হলে তাকে সারচার্জ প্রদান করতে হবে না। নীট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকা অতিক্রম করলে যথারিতি নির্ধারিত হারে (১০%-৩৫%) সারচার্জ প্রদানের বিধান রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর প্রদান করে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।’

সব মিলিয়ে প্রায় ৪৪ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন দাখিলের প্রমানপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেমনঃ ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়; ক্রেডিট কার্ড নেওয়া; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে; ব্যবসায় সমিতির সদস্য হলে; কারও সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে, অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হয়। এখন থেকে নূন্যতম দুই হাজার টাকা কর প্রদান ব্যতিরেকে এসব সেবা গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

সাধারণ করদাতাদের মতামত- একই অর্থ বিলের মাধ্যমে দুই ধরনের করমুক্ত আয়ের সীমা প্রস্তাব যা সাংঘর্ষিক । কেননা একদিকে কুরমুক্ত আয়ের সীমা ৩.৫০ লাখ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩.৫০ লাখ পর্যন্ত আয়ের উপর করহার হবে ’শুণ্য’ একই সঙ্গে আবার করযোগ্য আয় না হলেও অর্থাৎ করমুক্ত আয়ের জন্যও নূন্যতম আয়কর ২,০০০/- প্রদানের জন্য নতুন বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দুই নীতি বলে মনে হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর