ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনি মাঠে একের বিরুদ্ধে অপরের অভিযোগ করাটাই যখন রীতিতে পরিণত হয়েছে, তখন পাবনা-২ আসনে ভিন্নচিত্র দেখা যাচ্ছে। এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা যে যার মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রচারণায় কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ বিদ্বেষ প্রচার করছেন না, সবাই নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন। তবে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির ও বিএনএম মনোনীত প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। অন্য কোনো প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে প্রচারণায় নেই।
নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, আচারণবিধি মেনে আমার নৌকা প্রতীকে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সবাই একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। এ কারণে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও সৌহার্দ রয়েছে। আমরা যারা প্রার্থী রয়েছি তারা সবাই এ অঞ্চলেরই মানুষ, নির্বাচনি এলাকার সৌহার্দ ও শান্তি বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব।
কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী এই প্রতিনিধিকে জানান, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। প্রচারণার ব্যস্ততার ফাঁকেও প্রার্থীরা এক অপরের খোঁজখবর রাখছি। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক এটাই আমি চাই। যার প্রতি আস্থা পাবে জনগণ তাকেই ভোট দেবে।
সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, সুজানগর উপজেলার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এবং সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুখময় সরকার জানান, এখন পর্যন্ত পাবনা-২ আসনে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক পরিবেশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হলে অথবা কেউ আইন অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী সেই প্রার্থী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবুল কালাম জানান, নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে সংসদ সদস্য পদে সর্বমোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আহমেদ ফিরোজ কবির নৌকা প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙ্গর প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক আম প্রতীক, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সোনালী আঁশ প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মেহেদী হাসান রুবেল লাঙ্গল প্রতীক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম ফুলের মালা প্রতীক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী শেখ আনিসুজ্জামান মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Leave a Reply