ভারতকে ইসরায়েল হয়ে ওঠার বুদ্ধি মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের ভারতকে ইসরায়েল হয়ে ওঠার বুদ্ধি মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন

ভারতকে ইসরায়েল হয়ে ওঠার বুদ্ধি মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ১৬ সময় দর্শন

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এবং কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতকে ইসরায়েলের মতোই দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশোধমূলক কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন শীর্ষ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাইকেল রুবিন। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের কৌশল অনুসরণ করা।

রুবিন বলেন, ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ইসরায়েল বছর ধরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দোষীদের নিঃশব্দে হত্যা করে। সাত বছরের বেশি সময় ধরে ‘অপারেশন র‍্যাথ অব গড’-এর মাধ্যমে মোসাদ একে একে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শেষ করে।’ তার মতে, মোদিরও এ ধরনের কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তান-সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর চালানো সাম্প্রতিক হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ পর্যটক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন।

এই নৃশংস ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে এমন শাস্তি দেবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। অনেকেই এই বক্তব্যকে গোল্ডা মেয়ারের বিখ্যাত ঘোষণার প্রতিধ্বনি হিসেবে দেখছেন।

বিশ্লেষক রুবিন বলেন, ভারত অত্যন্ত কৌশলগতভাবে ও সংযমের সঙ্গে কাজ করছে। যদিও সন্ত্রাসী হামলা ও ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাঝে সময় কিছুটা লেগেছে, তবে ভারত সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের একাধিক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে—যার প্রমাণ ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি ও সামরিক কৌশলে দৃশ্যমান।

রুবিন পাকিস্তানের সমালোচনা করে বলেন, পাকিস্তান একদিকে বলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, অন্যদিকে তাদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চায়। যদি তারা সত্যিই সন্ত্রাসে মদতদানের অভিযোগ অস্বীকার করে, তবে তাদের উচিত সব সন্ত্রাসী ঘাঁটি বন্ধ করা এবং যেকোনো সন্ত্রাসীকে হস্তান্তর করা, যদি তারা সামরিক পোশাক পরিহিতও হয়।

১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ নামক ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে ১১ জন ইসরায়েলি ক্রীড়াবিদ নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইসরায়েল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, হামলাকারীদের পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন হত্যা করা হবে। সেই প্রতিশোধমূলক অভিযানে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার। সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রুবিন বলেন, আজকের দিনে ভারতকেও একই মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

রুবিন হুঁশিয়ার করেন, শুধু কূটনৈতিক তৎপরতায় সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। বরং যখন কূটনীতি শান্তি আনার চেষ্টা করে, তখন জঙ্গিরা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। তিনি বলেন, এভাবেই ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েল আরেকটি ভয়াবহ হামলার শিকার হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারত বর্তমানে পাকিস্তানের তুলনায় বেশি প্রস্তুত ও কৌশলগতভাবে সুসংগঠিত। তবে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে মোদির সরকারের উচিত সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আরও কড়া ও নিরবিচারে প্রতিশোধমূলক কৌশল গ্রহণ করা, ঠিক যেভাবে ইসরায়েল করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর