বরগুনার আমতলীতে স্বামীপরিত্যক্তা নারী ও তার শিশু কন্যাকে অমানুষিক নির্যাতন বরগুনার আমতলীতে স্বামীপরিত্যক্তা নারী ও তার শিশু কন্যাকে অমানুষিক নির্যাতন – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

বরগুনার আমতলীতে স্বামীপরিত্যক্তা নারী ও তার শিশু কন্যাকে অমানুষিক নির্যাতন

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৮৭ সময় দর্শন

বরগুনার আমতলীতে স্বামীপরিত্যক্তা নারী ও তার শিশু কন্যাকে অমানুষিক নির্যাতন

আজকাল ডেস্ক।। বরগুনার আমতলীতে পূর্বশত্রুতা ও স্লুইজগেটে গোসল করাকে কেন্দ্র করে এক সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তা তাছলিমা (৩০) ও তার শিশু কন্যা ময়নাকে (৬) মারধোর করে আহত করেছে পাশ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন। আহত স্বামী পরিত্যক্তা তাছলিামাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা তাছলিমার শিশু কন্যা ময়না বাড়ীর নিকটবর্তী স্লুইজগেটে গোসল করতে যায়। এ সময় একই এলাকার বাচ্চু ও ইউনুস মিয়া ময়নাকে ওই স্লুইজগেটে গোসল করতে নিষেধ করে বকাঝকা ও মারধর করেন। এ ঘটনাটি শিশু ময়না বাড়ীতে গিয়ে তার মা তাছলিমা বেগমের কাছে জানায়। ঘটনা শুনে তাছলিমা বেগম পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাচ্চু ও ইউনুস মিয়ার কাছে তার মেয়েকে মারধোরের বিষয়টি জানতে চায়। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাচ্চু ও ইউনুস তাছলিমাকেও মারধোর করে তাছলিমার চোঁখের নিচসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ফুলাজখম করেন। তাছলিমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে বাচ্চু ও ইউনুস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাছলিমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।
রবিবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, তাছলিমার চোঁখ মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালের বেডে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
আহত তাছলিমা বেগম বলেন, বাচ্ছু আমাকে রাস্তাঘাটে দেখলেই আজে-বাজে কথা বলে। এ বিষয় নিয়ে ওর সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। আমি মানুষের বাড়ীতে ঝিএর কাজ করে শিশু কন্যা ময়নাকে নিয়ে কোনভাবে জীবন যাপন করি। এখন যে ঔষধ কিনে খাবো সে টাকাও আমার কাছে নেই। তিনি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাচ্চু মিয়ার ভগ্নিপতি আবু সালেহ মারধোরের কথা স্বীকার করে বলেন আমারা বিষয়টা স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করতে চাই।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর