আজকাল ডেস্ক।। বরিশাল নগরীর বাজার রোডের একটি গুদাম থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা সরকারি ৬০ বস্তা চাল জব্দ করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এই চাল মজুত করার অভিযোগে গুদাম মালিক মোঃ আব্দুল কালাম মিয়া ও মোঃ ফরিদ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরীর বাজার রোডের ছালা পট্টি থেকে মোঃ আব্দুল কালাম মিয়ার গুদাম থেকে চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় চারজনকে আসামী করে চোরা কারবারি এবং অবৈধভাবে সরকারী চাল ক্রয়-বিক্রয়ের ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলো- গুদাম মালিক মোঃ আব্দুল কালাম মিয়া, গুদাম পরিচালনাকারী মোঃ ফরিদ, মিলন ও জামাল। এদের মধ্যে মিলন ও জামাল পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন বলেন, ওই গুদামে সরকারি ৬০ বস্তা চাল অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেক বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে। গতকাল বিকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই চাল উদ্ধার করি। চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরীর বাজার রোডের ছালা পট্টি থেকে মোঃ আব্দুল কালাম মিয়ার গুদামে অভিযান চালিয়ে ৬০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। বরিশাল সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়াজ মাকদুম (ওসিএলএসডি) উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নিয়াজ মাকদুম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জব্দকৃত ৬০ বস্তা চাল সরকারী গুদামের চাল প্রমানিত হওয়ায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ৬০ বস্তা চাল নলছিঠি থেকে আনা হয়েছে বলে জানান আটককৃত গুদাম মালিক। তবে এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত নয়। আমাদের মিটিং চলছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত মিটিং এর পরে গ্রহন করা হবে।
আপনারা কোন তদন্ত কমিটি গঠন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম স্যার ব্যাপারটি অবগত রয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply