শাশুড়িকে দুই মাস মন্দিরে ফেলে রাখায় পুত্রবধূ আটক শাশুড়িকে দুই মাস মন্দিরে ফেলে রাখায় পুত্রবধূ আটক – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

শাশুড়িকে দুই মাস মন্দিরে ফেলে রাখায় পুত্রবধূ আটক

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ১৮৮ সময় দর্শন

আজকাল ডেস্ক।। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গুজব ছড়িয়ে দুই মাস ধরে বৃদ্ধাকে একটি মন্দিরের বারান্দায় ফেলে রাখার ঘটনায় পুত্রবধূ শিখা রানীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে শিখা রানীর স্বামী জগদীশ সরকারকে খুঁজছে পুলিশ।

বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, গ্রামে পুলিশ আসার খবর পেয়ে শিখা রানী ও জগদীশ সরকার আত্মগোপন করেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিখা রানীকে আটক করা হয়। ছেলে জগদীশ সরকারকেও খুঁজছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসীরা জানায়, সূর্য কান্ত সরকার মারা গেলে তার স্ত্রী জ্ঞানদা রানী ছেলে জগদীশ সরকারের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। বয়সের ভারে নানা জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। এসব বিবেচনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জ্ঞানদা রানীকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়া হয়। ওই ভাতার টাকা তিন মাস পরপর উত্তোলন করে পুত্রবধূ শিখার কাছে জমা রাখতেন জ্ঞানদা রানী। দুই মাস আগে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন জ্ঞানদা রানী।

এ সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন গুজব ছড়িয়ে বাড়ির পাশের একটি মন্দিরের বারান্দায় জ্ঞানদা রানীকে রেখে আসেন ছেলে ও পুত্রবধূ। সর্দি-কাশি ভালো হলেও তার ঠাঁই হয়নি বাড়িতে। প্রায় দুই মাস ধরে মন্দিরের বারান্দায় অবস্থান করছেন তিনি। প্রথমদিকে বাড়ি থেকে সেখানে দুই বেলা খাবার দেয়া হতো। কিন্তু এরপর একবেলা পাঠালে আরেকবেলা দেয়া হতো না। একবেলা খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছেন তিনি।

জ্ঞানদা রানীর প্রতিবেশী বিভূতি মন্ডল বলেন, সোমবার বিকেলে ছেলে ও পুত্রবধূর কাছে খাবার চেয়ে না পেয়ে নিজের নামের বয়স্কভাতার টাকা চান জ্ঞানদা রানী। এতে পুত্রবধূ শিখা রানী ও ছেলে জগদীশ সরকার ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে নির্মমভাবে জ্ঞানদা রানীকে পিটিয়ে আহত করেন তারা। জ্ঞানদা রানীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে পুত্রবধূ শিখা রানী ও ছেলে জগদীশ সরকার তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর জ্ঞানদা রানী পুত্রবধূ শিখা রানী ও ছেলে জগদীশ সরকারের ভয়ে দূরের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন।

বিষয়টি জানতে পেরে খাবার ও ফলমূল নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানীর সঙ্গে দেখা করেন আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আফজাল হোসেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর