দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে বরিশাল নগরীর চৌমাথা লেকের পাড় দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে বরিশাল নগরীর চৌমাথা লেকের পাড় – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে বরিশাল নগরীর চৌমাথা লেকের পাড়

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২১৭ সময় দর্শন

দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে বরিশাল নগরীর চৌমাথা লেকের পাড়

মোঃ শহিদুল ইসলাম::বরিশালে নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।এবং বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন তারা। সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সেই সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিচ্ছে।সরেজমিনে দেখাযায়,চৌমাথা লেকের পাড়,বিবির পুকুর পাড়,কালেক্টারি পুকুর পাড় সহ নগরীর গুরুত্বপুর্ন স্পট গুলোর সড়ক এবং ফুটপাতের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে ফাস্ট ফুটের দোকান,জামা কাপড়ের দোকান,চা পানের দোকান থেকে শুরু করে সিংঙ্গরা পুরি সহ নানা ধরনের খাবারের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বরিশাল নগরী।জানাযায়, চৌমাথা লেকের পাড়ে গড়ে উঠছে প্রায় ১শ’বেশি ভ্রাম্যমাণ দোকান।ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে তারা।এতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।এছাড়াও সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকালের দিকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা প্রতিদিন বহু মানুষের সমাগম হয় এই সব এলাকায়। ২২ নম্বর ওয়ার্ড জিয়া সড়ক এলাকা থেকে ঘুরতে আসা দম্পতি বলেন, চৌমাথা লেকের পাড়ে এখন আর আগের মত বসার পরিবেশ নেই।পুরো লেকের পাড় জুড়ে গড়ে উঠছে খাবারের দোকান, নিঃস্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পরেছে।কলেজ রো,গোরস্তান রোড,কালুশাহ সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা সুবা,আনিকা রহমান,সৌরভ,ইমন মীর ও জাহিদ হোসেন তারা জানান,শহরে ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে বিবির পুকুর পাড়, কালেক্টট্রি পাড় এবং চৌমাথা লেকের পাড় এই তিনটি ঐতিহ্যবাহি দর্শনীয় স্থানকে ঘিরে আমাদের নগরীকে আরও প্রানওবন্ত করে তোলে।কিন্তু সম্প্রতি কালে দেখা যায়,নগরীর বিভিন্ন সড়কের ফুটপাত দখল মুক্ত করা হলেও পুকুরপাড় দখলবাজদের দখলেই থেকে যাচ্ছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে কতৃপক্ষের ভুমিকা নিয়েও।তারা কেন উচ্ছেদ করছেন না দখলদারদের। নাকি মাসোয়ার নেওয়ার কারনে উচ্ছেদ অভিযানে অনীহা রয়েছে তাদের।এছাড়া তারা আরও বলেন, লেকের পাড়ে বসার বেঞ্চের আশেপাশের স্থানে কাগজের টুকরা, চিপসের খোসা, ইটের খোয়ায় সহ নানা ধরনের ময়লা আবর্জনায় স্তুব হয়ে আছে।দেখে মনে হয় পরিছন্ন কর্মিরা কয়েকদিনেও ঝাড়ু দেননি এই সব এলাকা গুলোতে।এমনকি অবৈধ ভাসমান দোকানিদের জন্য চৌমাথার পুরো লেকটাই যেন দখলবাজরা গিলে খাচ্ছে এমননি মতামত ব্যক্ত করেন দর্শানার্থীরা।অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা অবৈধ দখলদার এমন কথা স্বীকার করে জানান,আমরা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। তারা যদি মনে করে এখন আমাদের সরে যেতে হবে আমরা চলে যাবো।এমনটাই জানিয়েছেন তারা।এ ব্যাপারে বিসিসি কর্মকর্তা ইমতিয়াস আহম্মেদ জুয়েল জানান,সচিব এবং প্রধান নির্বাহী দুইটি পদ শুন্য থাকার কারনে উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। তারা যোগদান করলেই দখলদার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর