মোঃ শহিদুল ইসলাম//বরিশাল নগরীতে মোবাইল সিম বিনা মূল্যে মালিকানা পরিবর্তন করতে অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন কোম্পানির সিম বিক্রিতে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম, এতে করে গ্রাহকদের হয়রানি চরমে। বিনা মূল্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপে সিম মালিকানা পরিবর্তন বাধ্যতামুলক করলেও বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশকে উপেক্ষা করে নগরীতে চলছে টাকার নেওয়ার হিড়িক। সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সদর রোড,বাংলা বাজার,নতুন বাজার,নতুল্লাবাত,চৌমাথা,সাগরদী সহ প্রায় প্রতিটা এলাকায় থাকা গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের রিটেইলার গ্রাহকদের কাছে থেকে ৫০-১০০টাকা করে অর্থ আদায় করছে। টাকা না দিলে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।গত ২ জুলাই বুধবার নগরীর সদর রোডস্থ বিবির পুকুরপাড়ের উত্তর পাশে রিটেইলার কাছে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করতে আসা সুলতানা খাতুন ও জাহেদা খাতুন তারা জানান, আমরা ২ টি সিমের মালিকানা পরিবর্তন করতে শানু টেলিকমে আসলে রিটেইলারা সিম প্রতি ১০০টাকা করে নেন,কম দিতে চাইলে রেখে ধমক দিয়ে বলেন আমরা কম নেই না।সিম পরিবর্তন আগ মুহুর্তে নতুন ২ টি রবি সিম নিলে ৬০ টাকা করে সিম প্রতি রাখছেন।এবং বান্ডিল অফারেও ৬০ নিছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর রোডের একাধিক ব্যক্তি জানান,বিবিরপুকুর পাড়ের শানু টেলিকম রিটেইলারা জনগনকে সেবাদান তো দুরের কথা গ্রাহকদের সাথে বাজে ব্যাবহার করা সহ নানা ভাবে হয়রানি করছেন।তারা আরও বলেন সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দখল করে এভাবে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন না। এতে জনগনের চলাচলে ভোগান্তিতে পরতে হয়।শানু টেলিকমের রিটেইনারা সত্যতাস্বীকার করে জানান,আমরা এভাবেই টাকা আদায় করছি,আমাদের খচর বেশি কাষ্টমাদের বলেই টাকা আদায় করছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে টাকা গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তারা। নগরীর সচেতন মহল মনে করছেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের এ নির্দেশকে অমান্য করে এভাবে অর্থ আদায় অব্যাহত থাকলে সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়তে থাকবে। তাই দ্রুত সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন নগরীর সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply