সোহাগদল ইউনিয়নে বুড়ো বয়সে বেআইনী ভাবে  ইয়াকুব আলী  মেম্বরের নীতিহীন কারিশমা  !!  সোহাগদল ইউনিয়নে বুড়ো বয়সে বেআইনী ভাবে  ইয়াকুব আলী  মেম্বরের নীতিহীন কারিশমা  !!  – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

সোহাগদল ইউনিয়নে বুড়ো বয়সে বেআইনী ভাবে  ইয়াকুব আলী  মেম্বরের নীতিহীন কারিশমা  !! 

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০
  • ২৮১ সময় দর্শন
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি।।বিগত নির্বাচনে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বদৌলতে সোহাগদল ইউনিয়নের মধ্যে ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ইয়াকুব আলী   আবারও চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে  সোহাগদল ইউনিয়নের মৃত শরীফ মোঃ আদেল উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী(৬৫) বিরুদ্ধে।   স্থানীয় সূত্র জানায়  সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত প্রবীণ   ইয়াকুব আলী মেম্বার। শুরু থেকেই বিতর্কিত কাজ কর্ম করে বেশ আলোচিত। এলাকার সাবেক সংসদ জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ শাহ আলম স্যারও বেশ কিছু কাজ কর্ম নিয়ে অবগত  । বি জি এফ কার্ড,  বয়স্ক ভাতা, জেলে কার্ড, সরকারি ঘরের তালিকা  সহ সর্বশেষ ২৫০০ টাকার তালিকায় রয়েছে চরম দূর্নীতির সুস্পষ্ট ছাপ।
                  এদিকে বয়সের ভাড়ে নুজ্জ হলেও কথা বার্তায় নেই কোন মাধুর্যতা। এ ব্যাপারে স্থানীয় এক মহিলা ভোটার জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের নাম না প্রকাশের শর্তে   বলেন, গত দেড় মাস আগে   আমি আমার এলাকার জনপ্রতিনিধি মোঃ ইয়াকুব আলীর বাসায় যাই। বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। ত্রাণের কথা বলার সাথে সাথে আমকে চড় থাপ্পড় দেয়। কোন কিছুর আচ করার আগেই আমাকে বেধম মারধর করে বলে জানান  । ঐ সময়ে আমি আমার গাঢ নডাতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে আমার অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক এম পি আমাদের উপজেলার প্রধান   অভিভাবক অধ্যক্ষ  শাহ আলম  স্যার  ঘটনার বিস্তারিত শুনে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। আমি স্যারের সন্মনে ক্ষমা করে দেই ইয়াকুব আলী মেম্বারকে   । পরবর্তী সময়ে মেম্বার বের হওয়ার পর আমাকে বলে তোকে দেখে নিবো।
                     এদিকে  এলাকার বহু অসহায় মানুষগুলো জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে আমরা গরীর। আর এটাই আমাদের বড় অপরাধ। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে বহু লোকজন আরও বলেন, আমাদের এলাকায় হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন তেমন কিছুই পায়না। বরং সরকার দলীয় লোকজন সহ স্বচ্ছল পরিবারের জন্য সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সহ সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে ওয়ার্ডের মধ্যে   চরম বিতর্কিত। বহু প্রবীণ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের লিখিত আকারে  ও ভিভিও ফুটেছে সহকারে বলেন, আমাদের মেম্বার একই পরিবারের গৃহ কর্তা মোঃ বারেক বেপারীর  সকল সদস্যদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে চরম নিন্দিত ও বিতর্কিত। সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সোহাগ দল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিভিন্ন বাসায় যান। সাহায্য বঞ্চিত পরিবারের তথ্য সংগ্রহ সহ সুবিধা ভোগী লোকজনের বাসায়ও যান। সরেজমিনে আরও বেশ কিছু সত্য তথ্য বের হয়ে আসে। পরিতাপের বিষয় একই পরিবারের মধ্যে সব সাহায্য পাওয়া ছিল চরম অনিয়মের । এ বিষয়ে এলাকার লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর মৌখিক  অভিযোগ পেশ করেন। চেয়ারম্যান এলাকার উন্নয়ন সহ সরকারের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য ঐ পরিবারের বেশ কয়েকটি সুবিধা বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি প্রবীন  ইয়াকুব আলী মেম্বারকে চেয়ারম্যান ধিক্কার জানায়। এত কিছুর পরও ইয়াকুব  আলী মেম্বার নিজের ভুল থেকে শিক্ষা  না  নিয়ে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে প্রতি নিয়ত । গত ২৫ মার্চ হতে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও মেম্বার আইউব আলী বরং আতঙ্কিত নয়। অথচ মনগড়া ভাবে করোনার কারণে সকল সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন চরম পক্ষপাত মূলক আচরণ করে।                                                                                                            সরেজমিনে আরও জানা যায়, জেলেদের কার্ড নিয়ে রয়েছে আরও বিতর্কিত। জাল নেই, নৌকাও নেই এরা আবার জেলে পরিবার বটে !!  এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন বলেন, মেম্বারকে উৎকোচ দিলে সবই হয়। অপর দিকে ২৫০০ টাকা প্রদানের তালিকায় রয়েছে চরম অনিয়ম ও বিশাল গরমিল। পরিতাপের বিষয় বিল্ডিং আছে এবং  আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে। অথচ মাথা গোঁজার ঠাই নেই, অভাব অনটন নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হলেও ২৫০০ টাকা তাদের ভাগ্যে জোটে না। বিচিত্র সেলুকাস ইয়াকুব আলী মেম্বারের ! এ ব্যাপারে সাবেক এক চেয়ারম্যান বলেন, ” ভাগ্যেস দেশে সেনা বাহিনীর শাসন নেই “। গাও গ্রামের মধ্যে ত্রাণ সহ সরকারি সকল সাহায্য নিয়ে এক ধরনের হরিলুট চলছে।  তবে মেম্বার ইয়াকুব আলী গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র।  এটাও সত্য, মিডিয়ার বহু প্রশ্নের জবাব এডিয়ে যান কৌশলে। তবে চেয়ারম্যানয়ের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি।
                   সর্বশেষ তথ্য মতে সোহাগদল ইউনিয়নের মধ্যে  ২ নং ওয়ার্ডে বিগত সময় হতে চলতি সময়ে সবচেয়ে বেশী বিতর্কিত প্রবীণ ইয়াকুব আলী মেম্বার। সকল কাজের ক্ষেত্রে রয়েছে ভেজাল আর ভেজাল। এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান  আঃ রশিদই পারেন  সকল বিষয়ের অনিয়ম রোধ করতে ।  পাশাপাশি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাও আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে পারেন।পাশাপাশি ইয়াকুব আলী মেম্বারের সকল অনিয়মের বিষয়ে  কঠিন শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর