মোঃ শহিদুল ইসলাম: বরিশাল বাজার ভরে গেছে মৌসুমি ফলে। করোনাভাইরাসের কারণে কেনাকাটা কম হলেও সয়লাব ফলের বাজার। গত বছরের তুলনায় বেচা বিক্রি অর্থেকে নেমে এসেছে এমনটি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নগরীর পাইকারি আড়ৎ থেকে ফুটপাত ও অলিতে-গলিতে ফলের সমারোহ। তবে সংক্রমণের ভয়ে সরাসরি বাজারে গিয়ে অনেকে ফল কেনা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। তাই কেউ কেউ ঝুঁকছেন অনলাইন কেনাকাটায়। চৌমাথা বাজার, নতুন বাজার,বাংলা বাজার, সাগরদী বাজার, রুপাতলী,পোর্টরোড, বটতলা বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের মত বেচাকেনায় তেমন ভিড় নেই ফলের দোকানগুলোতে। করোনাভাইরাসের কারণে এমনটি হয়েছে বলে মন্তব্য ব্যবসায়ীদের। ফলের বাজারে ক্রেতা কম হলেও দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা।বরিশালের পোর্ট রোড ফলের পাইকারি আড়তে কিছুটা কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু খুচরা বাজারে দাম অনেকটা বেশি বলে কয়েকজন ক্রেতাদের মন্তব্য। জানা গেছে, খুচরা বাজারে হাড়ি ভাঙ্গা,রুপালী আম বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে, ল্যাংড়া গোপালভাড়,হিম সাগর,বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।অন্যান্য জাতের আম আরও কমদামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানাযায়। আনারস মাঝারি (হালি প্রতি) ১০০-১২০টাকা,জাম কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা ও কাঁঠাল মাঝারি প্রতি পিছ ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর কাশিপুর বাজারের ফল ব্যবসায়ী রুস্তুম আলী জানান, এ বছর করোনার কারণে মানুষের আয় ইনকাম কম হওয়ায়,কোন রকম খেয়ে পড়ে আছে।আবার করোনার ভাইরাসের কারনে ফল বিক্রিতে তার প্রভাব পড়েছে।পোর্টরোড ফলের আড়তদারা বলেন, এ বছর করোনায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতে টাকা না থাকায় ব্যবসায় বড় ধরনের মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। লঞ্চঘাটে আম কিনতে আসা নবগ্রাম রোডের বাসিন্দা আকবর মিয়া জানান,করোনায় সব কিছু এলোমেলো করে দিয়েছে জীবন যাত্রা,এ কারনে অর্থের সমস্যা থাকলেও ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে মৌসুমী ফল উপভোগ করতে ৫ কেজি আম কিনেছেন।অন্যদিকে বরিশালের অনেকেই বিভিন্ন জাতের আম অনলাইনে অর্ডার নিয়ে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরণের বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারণে বরিশালের খুচরা ফল ব্যবসায়ীদের উপর অনেক প্রভাব পড়েছে।
Leave a Reply