নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ বরিশাল সদর নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলার ঘটনায় বরিশাল নগরে থমথমে অবস্থা এখনো বিরাজ করছে। সকাল থেকে নগরের রাস্তাঘাটে লোকজন ও যানবাহন চলাচল কম। সকালে নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।বৃহস্পতিবার রাতে, ইউএনও’র বাড়িতে হামলার দুই মামলায় আরো এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনায় জড়িত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে, মামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন রয়েছেন আত্নগোপনে। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র বাড়িও রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
এতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৮০ থেকে ৯০ নেতাকর্মীর নামসহ ৬০৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলা দুটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ।এ সময় নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান নেতারা। বরিশালের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব ১০ প্লাটুন বিজিবি চেয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার রাতে ব্যানার-পোস্টার সরানো নিয়ে বরিশাল সদরের ইউএনওর বাসভবনের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে চলে দফায় দঢায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় ২৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত অন্তত ৩৫ জন।
Leave a Reply