নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃকলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বরিশাল গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ারে কর্মরত রাকিবুল ইসলাম (২৫) নামের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বিশোর্ধ্ব তরুণীর সাথে প্রেম সম্পর্ক চলাকালে গত তিন মাসে বরিশাল নগরীর একাধিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। সর্বশেষ তরুণীকে নিয়ে বান্দ রোডস্থ চারু আবাসিক হোটেলে রাতযাপন এবং ধর্ষণ শেষে সকালে বিয়ের জন্য ডেকে আসতে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। তরুণী এখন বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রথমে নানা টালবাহনা এবং পরে তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। তরুণী বাধ্য হয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাটি মামলায় রুপ নিলে শহরের ভাটিখানা এলাকার রাকিবুল গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।
কলেজছাত্রী জানান, মোবাইল সীম কার্ডের সমস্যা নিয়ে শহরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউর গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ারে গেলে যুবক রাকিবুলের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রধরে তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হঠাৎ একদিন তরুণীকে বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে রাবিক তার বড় ভাইয়ের বাসায় নিয়েও ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হোটেলসহ আরও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং বিয়ের কথা বললে আজ না, কাল করতে থাকে।
তরুণী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, সর্বশেষ তাকে বিয়ে করার কথা বলে রাকিব বান্দ রোডস্থ হোটেল আবাসিক চারুতে নিয়ে যায়। এবং সেখানকার রেজিস্ট্রারে ভুয়া নাম-ঠিকানা লেখিয়ে রাতযাপনসহ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তরুণী বিয়ের আর্জি জানালে কাজী ডেকে আনার কথা বলে হোটেল থেকে বেড়িয়ে পালিয়ে যায়।
তরুণী জানান, এরপর রাকিবের সাথে যোগাযোগ এবং বিয়ের চাপ দিলে সে সকল সম্পর্ক অস্বীকার করাসহ ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এবং তাকে (তরুণী) মামলায় ফাঁসানোর হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় তরুণী অনেকটা বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার রাতে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়াসহ মামলা করেন।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তরুণীর মামলাটি এসআই মর্যাদার এক কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।’
Leave a Reply