বরিশালে জমজমাট হয়ে উঠছে শীতের পিঠা বিক্রি বরিশালে জমজমাট হয়ে উঠছে শীতের পিঠা বিক্রি – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

বরিশালে জমজমাট হয়ে উঠছে শীতের পিঠা বিক্রি

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৭৮ সময় দর্শন

বরিশালে জমজমাট হয়ে উঠছে শীতের পিঠা বিক্রি

মোঃ শহিদুল ইসলাম।। নানান রকমের মজার পিঠার দেশ বাংলাদেশ। পিঠা এ দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। পিঠা ছাড়া বাঙালির ঐতিহ্য ভাবা যায় না। শীতের আবহাওয়া খুব একটা না বোঝা গেলেও জমে উঠতে শুরু করেছে শীতের পিঠার ব্যবসা। গ্রাম থেকে শহরের আনাচে-কানাচে, মোড়ে মোড়ে, রাস্তার ফুটপাতে এখন চোখে পড়ছে পিঠা বিক্রির দৃশ্য। এর স্বাদ নিতেও ভুল করছেন না মানুষ। চালের গুড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই পিঠা। মুলত আমন ধান থেকে চাল করে সেই চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয় শীতের পিঠা। গ্রামের মেঠোপথ, ঘোমটা পড়া কুয়াশা, সকালের খেজুরের রস, সূর্যের উঁকি দেয়া কোমল মিষ্টি রোদ, আর মায়ের হাতের পিঠা মনে করিয়ে দেয় গ্রামে ফেরার কথা। বিভিন্ন এলাকার পিঠার তারতম্য থাকায় গ্রাম বাংলায় ভিন্নভিন্ন পিঠা ভিত্তিক সংস্কৃতিও রয়েছে।আর শীতের আনাগোনায় যেনো পিঠার আধিক্য অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তবে সেই আক্ষেপ এখন আর থাকছে না। ঐ ভাবে শীত না পড়লেও নগরীর অলি-গলিতে এখনই পাওয়া যাচ্ছে শীতের পিঠা। শীতের পিঠার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ভাপা, চিতাই, শীতে সব জায়গাতেই ভাপা ও চিতাই পিঠার আধিক্য বেশি থাকলেও রাস্তাঘাটে ভাপা পিঠাই বিক্রি হতে দেখা যায়।কার্তিক মাস চলে গেলেও ঠান্ডার দেখা মেলেনি বরিশাল অঞ্চলে। তেমন একটা ঠান্ডার দেখা না মিললেও শীতের পিঠা তৈরি ও বিক্রি থেমে নেই। ক্রেতারা ভীড় করছে পিঠার দোকানে। সন্ধ্যা হলে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হাজির হচ্ছেন অনেকেই। আবার কেউ আসছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শীতকালিন পিঠা খেতে নগরীর সিএন্ডবি রোড কাজীপাড়া,জিয়া সড়ক থেকে নাজিরেরপুল এলাকায় পিঠা খেতে আসা শহিদুল,সানি,মাহমুদ ও বাইজিদ তারা বলেন, শীত চলে আসছে। আর পিঠাও বিক্রিও শুরু হয়েছে, তাই পিঠা খেতে এসেছি। ভালো লাগছে। তবে মনে হচ্ছে এখনও পুরাপরি স্বাদ পাচ্ছিনা। গত বছর এই ধরণের পিঠা এবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।চৌমাথা এলাকায় পিঠা খেতে আসা সুমন নামের এক কলেজ ছাত্র বলেন, সন্ধ্যার সময় কিছু খেতে ইচ্ছা করে। তাই অন্য কিছু না খেয়ে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে আসি। এ বছরে আমি আজ প্রথম পিঠা খেলাম, খুব ভালো লাগলো।এদিকে, শীত মৌসুমকে ঘিরে এই বিভিন্ন পদের পিঠা বিক্রি করে সাবলম্বি হচ্ছেন অনেক নারী-পুরুষ। তেমনি নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার রাবেয়া বেগম ও জেলাখানার মোড় এলাকায় কালাম হোসেন তারা প্রতিবছর শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা আয় করেন।এ ছাড়া আরিফ দিনমজুরের কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজীপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান ভ্যানে করে ভাপাপিঠা বিক্রি করেন। ফুলবানু নামের আরেক শীতকালিন পিঠা ব্যবসায়ি তিনি গ্রাম থেকে এসে শহরে এসে প্রতি বছর পিঠা বিক্রি করেন। তবে এখন শুরুর দিকে বিক্রি কম হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর