বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে তাদের মতো করে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবে বলে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এমনকি আদালত এও বলেছেন, প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সুরক্ষার বিষয়টি দেখতে হবে রাজ্য সরকারকেই। তবে ত্রিপুরায় নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিগগির এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শাসক দল বিজেপি বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। প্রচার সজ্জা নষ্ট করছে, এমনকি বাছাই করে তৃণমূল কর্মীদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে দলটি।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, এই বিষয়গুলি নিয়ে তারা সহসাই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন। পাশাপাশি আদালত অবমাননার বিষয়টিও জানানো হবে সর্বোচ্চ আদালতে।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্পে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক এবং বঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যারা আক্রমণ চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে চারটি মামলা করেছেন তারা। নতুন করে শনিবার আরও চারটি মামলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তারা।
বঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১১ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরপরই অন্তত চারবার তৃণমূল প্রাথী ও কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শুক্রবারও এ ধরনের হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের অনুগতরা। গত দুদিনে অন্তত নয়টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। আর তাতে বিজেপি ভালো করেই বুঝতে পেরেছে যে জনসমর্থন এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তাদের। কাজেই মানুষ যদি স্বাভাবিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না তারা। ভয়ে কাবু বিজেপি তাই হামলার পথ বেছে নিয়েছে।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রকাশ্যেই বলছেন আইন নাকি তার হাতের মুঠোয়। একারণেই একবার উচ্চ আদালত অবমাননা করার পর এখন সর্বোচ্চ আদালতকেও মানতে চান না তিনি। অবস্থাটা এমন যেন তিনিই এখানে শেষ কথা। শুক্রবারও (১২ নভেম্বর) আগরতলার রামনগরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী প্রার্থীরা যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।’ এটি গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার।
সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা রাতে দলীয় পতাকা লাগালেও ভোর না হতেই উধাও হয়ে যায় সেগুলো। এ জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপিকেই দায়ী করেন তিনি
Leave a Reply