নিজস্ব প্রতিবেদক::বরিশালের আলোচিত ২ মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সিডিল আনতে গিয়ে ঝিনাইদাহ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার রাতে ঝিনাইদাহ ডিবি পুলিশের একটি টিম অ্যাডভোকেট এইচ.এম আলম রশিদ লিখন (৪৬) এবং মাসুদ খান বুলেট (৪১) নামের এই দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর লিখন নিজের বরিশালের একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেয়। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, লিখন ও বুলেট বরিশালের আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী। দেশের সীমান্ত জেলাগুলো থেকে তারা মাদক সরবরাহ করে বরিশালে নিয়ে আসতো এবং তা পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে আসছিল। ঘটনাবলীতে তাদের বিরুদ্ধে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, ‘বুলেট এবং লিখন নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী রোববার রাত ৯টার দিকে ফেন্সিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে রয়েল পরিবহন কোম্পানির একটি বাসে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি টিম সদর থানাধীন মহাসড়কে তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে। গভীর রাতে রয়েল পরিবহন কোম্পানির বাসটিতে তল্লাশি করে লিখন ও বুলেটের সাথে থাকা ব্যাগ থেকে ৬৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর এইচ.এম আলম রশিদ লিখন নিজেকে ‘দৈনিক বরিশালের আলো’ নামক একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেয় এবং আইন উপদেষ্টা লেখা একটি আইডি কার্ডও প্রদর্শন করে।
এই ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার মৃত মোহাম্মদ আলী খান তোতা মিয়ার ছেলে মাসুদ খান বুলেট এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের কেওরাবুনিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে অ্যাডভোকেট এইচ.এম আলম রশিদ লিখন প্রায়শই ফেন্সিডিল আনতে চুয়াডাঙ্গসহ দেশের সীমান্ত এলাকাগুলো যান। এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে ফেন্সিডিলসহ মাদক নিয়ে সড়কপথে বরিশালে আসে। পরবর্তীতে সেগুলো বরিশাল বিভাগের জেলা উপজেলায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করে আসছিল।’
Leave a Reply