মুসলিম নারী ‘নিলামে’ বিক্রির চেষ্টা, মূলহোতার পরিচয় প্রকাশ মুসলিম নারী ‘নিলামে’ বিক্রির চেষ্টা, মূলহোতার পরিচয় প্রকাশ – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন

মুসলিম নারী ‘নিলামে’ বিক্রির চেষ্টা, মূলহোতার পরিচয় প্রকাশ

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২২
  • ১০১ সময় দর্শন

ভারতে বুল্লি বাই নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে শতাধিক মুসলিম নারীকে ‘নিলামে’ বিক্রির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর পরিচয় জানা গেছে। নীরাজ বিষ্ণোই নামে এক তরুণ এই ঘটনার মূল হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে  আসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আএফএসও) ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার কে পি এস মালহোত্রা বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আইএফএসও টিম আসাম থেকে নীরাজ বিষ্ণোই নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেন। নীরাজ  গিটহাবের বুলি বাই অ্যাপের প্রধান পরিকল্পনাকারী। তিনই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। অ্যাপটির প্রধান টুইটার অ্যাকাউন্টও তিনিই চালাতেন।

পুলিশ জানায়, ২১ বছর বয়সী নীরাজ মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আসামের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে দিল্লিতে আনা হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। এদিকে, গিটহ্যাব প্ল্যাটফর্মের বুল্লি বাই অ্যাপ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ার পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

ওই অ্যাপে বিনা অনুমতিতেই ভারতের কয়েকজন প্রসিদ্ধ মুসলিম নারী সংবাদিক ও আন্দোলনকর্মীর ছবি ব্যবহার করে তাদের ‘বিক্রির’ জন্য ভুয়া নিলামে তোলা হয়েছে। ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির জন্য নিলামে’ তোলা হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা  হয়েছে।

গত বছরের জুলাইতে ‘শালি ডিলস’ নামে একটি অ্যাপে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়েছিল। ওই অ্যাপে ও ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছিল ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে। বুল্লি বাই ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের ক্লোন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না উভয় অ্যাপেই সত্যিকারের কেনাবেচার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। বরং মুসলিম নারীদের হেয় ও অপমান করাই ছিল ওই অ্যাপগুলো উদ্দেশ্য।

‘শালি ডিলস’  অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ‘বিক্রির’ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও  সে সময় কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর