নিজস্ব প্রতিবেদক::পটুয়াখালীর দুমকিতে মোবাইল চুরির অপবাদে নাবিল (১৪) নামে শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য রানার বিরুদ্ধে। এ দৃশ্য ভিডিও ধারণ ফেসবুকে দিলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে। সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পরলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।নাবিল রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে মৌকরণ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রানা পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।ভুক্তভোগী নাবিলের মা হাসিনা বেগম বলেন, আমার বড় ছেলে রবিউল, মাদ্রাসার পাশে কাঠের দোকানে কাজ করে। স্কুল বন্ধ থাকায় রবিউল ছোট ছেলে নাবিলকে কাজের জন্য সঙ্গে নেয়। নাবিল কাজ না পাওয়ায় সে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ওখানে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, নাবিল মাদ্রাসার হাফেজ ওলিউল্লাহ হুজুরের মোবাইল চুরি করেছে। এ সময় মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থী ও রানা মেম্বারের লোকজন নাবিলকে মারধর করে। পরে মোবাইলটি কাঠের পাশে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রিপন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সম্পৃক্ত অন্যদের আটকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। তারা যেটা করেছে ছেলেটির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এরই মধ্যে দুমকি থানা-পুলিশ রিপন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply