নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: বরিশালের উজিরপুরের মাদ্রাসী গ্রাম থেকে নুপুর আক্তার (১৮) নামে এক তরুণী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ির ঘরের আড়ার সাথে লাশটি ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেয় স্বজনেরা। পরবর্তীতে পুলিশের একটি টিম গিয়ে ঘরের দুই তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। শ্বশুর পরিবার এই বিয়োগান্তের ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও নুপুরের কাকা ইকবাল হোসেন বলছেন, বিষয়টি সন্দেহজনক। তাদের অভিযোগ, তার ভাতিজিকে হত্যার পরে লাশটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উজিরপুর থানা পুলিশ জানায়, লাশটি ঝুলতে দেখে সকালে স্বজনেরা থানায় ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- তরুণী নুপুর গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম আশোকাঠী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। দুই বছর পূর্বে উজিরপুর উপজেলার মাদ্রাসী গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মো. মিলনকে (২৫) ভালবেসে বিয়ে করেন তরুণী।মিলনের বোন জামাই মো আনোয়ার হাওলাদার জানান, প্রেমের বিয়ে হলেও শ্যালকের সংসারে কলহ ছিল। তার দাবি, স্বামীর সাথে অভিমান করে নুপুর রাতে কোনো এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তরুণীর কাকা ইকবালের দাবি, নপুরের লাশটি আড়ার সাথে ঝুললেও পা ছিল বিছানার ওপর। এতে ধারণা মেলে তাকে কেউ হত্যার পরে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। ফলে থানা পুলিশও এই বিয়োগান্তের ঘটনাটি কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখছে। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কিছু বলতে চাইছে না।
এই তথ্য নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাণবিয়োগের এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তাকে ভিন্ন কিছু ইঙ্গিত করলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে, জানান ওসি।’
Leave a Reply