নিজস্ব প্রতিবেদক::পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টিকটকের ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এসময় ওই গৃহবধূর এক ছেলে ও এক মেয়েকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার লালুয়া ইউপির মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় নির্যাতিতা গৃহবধূ সামসুন্নাহার বেগমকে (৩৮) উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সামসুন্নাহার ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতালের শয্যায় যন্ত্রনাসিক্ত গৃহবধূ জানান, তার বাড়ির সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক যুবতিকে নিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করছিলো স্থানীয় বখাটে আসলাম ও বেল্লাল নামের দুই যুবক। গৃহবধূর নিজ বাড়িতে যুবতি মেয়ে এবং পুত্রবধূর সামনে এমন নোংরা ভিডিও ধারণে প্রথমে বাধা দেন তিনি। কিন্তু বখাটেরা বাধার তোয়াক্কা না করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। পরে তার ছেলে ইমান হোসেন বাড়িতে ফিরলে তিনি জোর গলায় বখাটেদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসলাম এবং বেল্লাল ইমানের ওপর হামল চালায়। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই গৃহবধূকে বেধড়ক পিটুনি দেয় বখাটেরা। পরে মায়ের চিৎকার শুনে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সানজিদা এগিয়ে এলে তাকেও টিকটকধারীরা মারধর করে বলে অভিযোগ করেন আহতরা। বর্তমানে আহত গৃহবধূ তার ডান চোখে এবং কপালে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন নিয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত টিকটকার আসলামের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, টিকটক করা কোন অপরাধ না। ওই মহিলার সাথে কোন ঝামেলা হয়নি, যা হয়েছে ওনার ছেলের সাথে হয়েছে। এছাড়া আমার রাগ ভাঙাতে খালাতো বোন আমার সাথে টিকটক করেছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.ইকবাল হোসেন বলেন, গৃহবধূর ডান চোখের উপরে এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ওই নারীকে চোখের চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।কলাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply