হাসপাতালে কমলেও ক্লিনিকে বাড়ছে সিজার হাসপাতালে কমলেও ক্লিনিকে বাড়ছে সিজার – ajkalbd24.com
  1. admin@ajkalbd24.com : admin : H.M Aslam
  2. akazadjm@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  3. ajkalbd24.com@gmail.com : ajkalbd24 : Niaz Mohammad
  4. hafijakhan804@gmail.com : ajkal1 : ajkal1
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

হাসপাতালে কমলেও ক্লিনিকে বাড়ছে সিজার

আজকাল ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩৭১ সময় দর্শন

মো. আতিকুর রহমানঃঃ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রসূতিদের সিজারিয়ান অপারেশন কমলেও ক্লিনিকে বেড়েছে। নিরাপদ মাতৃত্বের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপারেশন নিরুৎসাহিত করা হলেও এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে ১১ জনের। একই সময় নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ২০ প্রসূতির। অক্টোবরে সিজারিয়ান ১৪ এবং নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১৮ জনের। নভেম্বরে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা ১৪। ওই মাসে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ২০ জনের।

সরেজমিন সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ‘শনি, বুধ ও বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয় না’—অপারেশন থিয়েটারের সামনেই টিনের হলুদ বোর্ডের ওপর লাল অক্ষরের সাইনবোর্ডে দেওয়া আছে এমন নির্দেশনা। এতে একদিকে যেমন ওই তিনদিনের বাইরে অপারেশন করা হয় না, অন্যদিকে চিকিৎসক অপারেশনে গেলে বহির্বিভাগের রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা পান না। ফলে মাতৃত্বকালীন রোগী ও চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতালের রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় যদি কোনো মাতৃত্বকালীন রোগী হাসপাতালে আসেন আর তার অবস্থা গুরুতর হয় তাহলে ওই রোগী এবং স্বজনদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কর্মচারী জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী হয়েও তিনি স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন ক্লিনিকে করিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানান, হাসপাতালের পরিবেশ এবং সেবার মান ভালো না। দক্ষ জনবল থাকলেও রোগীর প্রয়োজনে যথাসময়ে তাদের ডাকলে (চিকিৎসকদের) তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। রোগীর বিছানা, টয়লেট অপরিষ্কার থাকে। এতে রোগীর অপারেশনের জায়গায় ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, শুধু সিজারিয়ানই নয়, অন্যান্য অপারেশনও এখানে করা হয়। আর অত্যন্ত দক্ষ জনবল দিয়ে এসব অপারেশন করা হয়।তিনি আরও জানান, বর্তমানে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের বাইরে অপারেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। আড়াইশ বেডের হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে। এটার কাজ শেষ হলে সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর